কন্টেন্ট লিখে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়

educationbd
By -
0

কন্টেন্ট লিখে প্যাসিভ ইনকাম কীভাবে সম্ভব?



কন্টেন্ট লিখে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়,২০২৪,


আসসালামু আলাইকুম ভাই ও বোনেরা সকলে কেমন আছেন, আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তালার অশেষ রহমত ও আপনাদের ভালবাসায় ভালো আছি। 


বর্তমান সময়ে সকলেই কাজের পাশাপাশি একটি প্যাসিভ ইনকামের খোজ করে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে কিছুটা অর্থ ইনকাম করা যায়। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব

কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম করবেন? বা প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়



প্যাসিভ ইনকাম এমন একটি আয়ের পথ যা ধীরে ধীরে  আপনাকে একটি ইনকাম জেনারেট দেবে সেই সাথে এই ইনকাম লং টাইম ধরে আপনার নিকট আসতে থাকবে। এ জন্য আপনাকে প্রথমে কিছুটা সময় ও শ্রম ব্যয় করতে হবে, তত দিন পর্যন্ত এ সময় ও শ্রম দিতে হবে যতদিন পর্যন্ত আপনার আয়ের উৎসটি সম্পুর্ন ভাবে তৈরি না হচ্ছে। যখন আপনার এর থেকে একটা ইনকাম আসতে শুরু করে দিবে তখন আপনার শ্রম কম করলেও ভালো মানের একটি ইনকাম মাস শেষে আপনার নিকট আসতে থাকবে।


এখানে একটা কথা মনে রাখতে হবে আমি প্যাসিভ ইনকামের কথা বলেছি। তারমানে এই নয় যে আপনার কাজ বা চাকরি ছেড়ে দিয়ে অনলাইনে ইনকামের কথা চিন্তা করে কাজ শুরু করে দিবেন। তাহলে আপনি বেশি দুর এগিয়ে যেতে পারবেন না।  কেননা অনলাইন জগৎ টা এমন এক জগৎ এখানে আপনি কোন কোন কাজ করে একমাসের মধ্যে ইনকাম  করতে পারবেন না।  আপনি যদি কোন পেশার সাথে জড়িয়ে থাকেন এবং কাজের পরে কিছুটা সময় পান যে সময়ে ফেইসবুকিং করেন বা ইউটিউব দেখে সময় নষ্ট করছেন। এই সময় গুলোকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।


কন্টেন্ট লিখে প্যাসিভ ইনকাম অর্জন করা কি সম্ভব?


হ্যা সম্ভব আসুন, জেনে নিই কীভাবে কন্টেন্ট লিখে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।


১. আর্টিকেল লিখে আয় বিস্তারিত গাইড


বর্তমান সময়ে আর্টিকেল লিখে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, বিশেষ করে যাদের লেখালেখির শখ বা দক্ষতা রয়েছে। ইন্টারনেটের প্রসার বাড়ার সাথে সাথে আর্টিকেল রাইটারদের চাহিদাও দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে বাংলা আর্টিকেল রাইটিং করে ইনকাম করা যায়, এই সকল ব্লগ সাইটের মাধ্যমে এখন আর্টিকেল লিখে আয় করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। নিচে আর্টিকেল লিখে আয় করার বিভিন্ন পদ্ধতি এবং কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।


ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মে কাজ করা

ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রোফাইল তৈরি  করে আর্টিকেল লেখার কাজ করা যায়। কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম হল:

  • Upwork: এখানে বিভিন্ন ধরনের লেখার কাজ পাওয়া যায়, যেমন ব্লগ পোস্ট, ওয়েব কন্টেন্ট, কপি রাইটিং, ইত্যাদি।
  • Fiverr: এখানে আপনি আপনার সার্ভিস অফার করে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ পেতে পারেন।
  • Freelancer: এখানে বিভিন্ন ধরনের লেখার প্রজেক্টে বিড করে কাজ পেতে পারেন।
  • Guru: এটি  আরেকটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন লেখার কাজ পাওয়া যায়।


প্রথমে এই প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে এবং আপনার পুর্বের  কাজ গুলোকে আপলোড করতে হবে । ক্লায়েন্টদের আকর্ষণ করার জন্য আপনার প্রোফাইলটিকে প্রোফেশনাল লুক দিতে হবে


২. ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম 


প্যাসিভ ইনকাম করতে নিজেই ব্লগ তৈরি করে আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারেন। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব:

  • বিজ্ঞাপন: আপনার ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্স বা অন্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় করতে পারেন।

  • স্পন্সরশিপ: ভালো মানের ব্লগ থাকলে বিভিন্ন কোম্পানি এবং ব্র্যান্ড থেকে স্পন্সরশিপ পাওয়া যায় যার মাধ্যমে  তাদের পণ্য বা সেবা নিয়ে আর্টিকেল লিখে আয় করা সম্ভব 
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনার ব্লগে অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে  কমিশন জেনারেট করতে পারেন।
  • ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি: ই-বুক, কোর্স বা অন্যান্য ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করতে পারেন।


প্রথমে একটি নির্দিষ্ট নিস নির্বাচন করুন এবং নিয়মিত মানসম্মত আর্টিকেল প্রকাশ করুন। আপনার ব্লগের ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য এসইও (SEO) কৌশল প্রয়োগ করুন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন।


৩. কন্টেন্ট মিল এবং আর্টিকেল মার্কেটপ্লেস

কন্টেন্ট মিল এবং আর্টিকেল মার্কেটপ্লেসগুলিতে নিবন্ধন করে আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়। কিছু জনপ্রিয় কন্টেন্ট মিল এবং আর্টিকেল মার্কেটপ্লেস দেয়া হল:

Textbroker: এখানে বিভিন্ন ধরনের ক্লায়েন্টদের জন্য আর্টিকেল লিখতে পারেন এবং প্রতিটি লেখার জন্য পেমেন্ট পাওয়া যায়।

iWriter: এখানে আপনি ক্লায়েন্টদের জন্য আর্টিকেল লিখতে পারেন এবং রেটিং অনুযায়ী পেমেন্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

Constant Content: এখানে আপনি আপনার লেখা আর্টিকেল বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন


প্রথমে এই সাইটগুলিতে নিবন্ধন করুন এবং আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন। নিয়মিত মানসম্মত আর্টিকেল লিখুন এবং ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করুন।


৪. গেস্ট ব্লগিং করে আয়

গেস্ট ব্লগিং হল অন্যদের ব্লগে আর্টিকেল লিখে আয় করার একটি উপায়। অনেক বড় ব্লগ এবং ওয়েবসাইট গেস্ট ব্লগিংয়ের জন্য লেখকদের পেমেন্ট করে। গেস্ট ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেন এবং বড় অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারেন। 


গেস্ট ব্লগিং শুরু করার জন্য প্রথমে জনপ্রিয় ব্লগ এবং ওয়েবসাইট খুঁজুন যেখানে  গেস্ট পোস্ট করার সুযোগ রয়েছে । তাদের গেস্ট পোস্ট গাইডলাইন পড়ুন এবং সেই অনুযায়ী আর্টিকেল লিখে জমা দিন। গেস্ট ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি লেখার দক্ষতা বাড়ার সাথে সাথে নিজের একটি  পোর্টফোলিও তৈরি হয়ে যাবে। যা সুদূর ভবিষ্যতে আপনার প্যাসিভ ইনকামের আরেকটি পথ তৈরি হয়ে যেতে পারে


৫. সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিউজলেটার

সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিউজলেটার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়। মিডিয়াম, সাবস্ট্যাক এবং প্যাট্রিয়নের মতো প্ল্যাটফর্ম গুলোতে একাউন্ট  করে আপনার লেখা প্রকাশ করতে পারেন এবং সাবস্ক্রাইবারদের থেকে পেমেন্ট পেতে পারেন।


  • Medium: প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য medium অন্যতম এখটি উপায় হতে পারে, এখানে আপনি লেখার জন্য পেমেন্ট পেতে পারেন, বিশেষ করে যদি আপনার আর্টিকেল অনেক পাঠক আকর্ষণ করে।

  • Substack: এখানে আপনি নিউজলেটার লিখে সাবস্ক্রাইবারদের থেকে পেমেন্ট পেতে পারেন।

  • Patreon:এখানে আপনি পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন এবং তাদের জন্য এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন।


আর্টিকেল লিখে আয় করার জন্য  ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম, ব্লগিং, কন্টেন্ট মিল, গেস্ট ব্লগিং, এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এখানে আর্টিকেল লিখে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। লেখার মান বজায় রেখে, নিয়মিত কন্টেন্ট প্রকাশ করলে আপনাকে সফল নিশ্চিত।


৬.ই-বুক লিখে আয়


ই-বুক লিখে আয় করা একটি অসাধারণ উপায় যা সারা বিশ্বে লেখকদের কাছে একটি প্রধান আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। ই-বুকের মাধ্যমে আপনি আপনার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, এবং দক্ষতা শেয়ার করতে পারবেন এবং সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। এখানে ই-বুক লিখে আয় করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।


বিষয়বস্তু নির্বাচন

ই-বুক লেখার প্রথম এবং প্রধান ধাপ হলো একটি জনপ্রিয় এবং প্রয়োজনীয় বিষয় পছন্দ  করা। আপনার ই-বুকের বিষয়বস্তু হতে পারে:

  • আপনার নিজস্ব অভিজ্ঞতা বা গল্প
  • বিশেষ কোন জ্ঞান বা দক্ষতা
  • কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করার উপায়
  • শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত গাইড লাইন 


জনপ্রিয় ই-বুক বিষয়বস্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট , হেলথ্  ও ফিটনেস, ব্যবসা ও অর্থনীতি, প্রযুক্তি, ভ্রমণ, রান্না এবং বিজ্ঞান 


গবেষণা এবং পরিকল্পনা

একটি সফল ই-বুক লেখার জন্য গভীর গবেষণা এবং সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

  • বাজার গবেষণা: আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখবেন বলে ভেবেছেন এ নিয়ে বাজারে কী কী বই রয়েছে তা যাচাই করুন। পাঠকদের কোন ধরনের তথ্য প্রয়োজন এবং তারা কী ধরনের সমস্যার সমাধান খুঁজছেন তা নির্ধারণ করুন।
  • লেখার পরিকল্পনা: ছোট ছোট  পরিকল্পনা তৈরি করুন যেখানে আপনার ই-বুকের মূল বিষয়বস্তু, অধ্যায়ের শিরোনাম এবং প্রতিটি অধ্যায়ের মূল পয়েন্টগুলি উল্লেখ থাকবে।

উপাদান সংগ্রহ: ই-বুকের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, উদাহরণ, এবং রেফারেন্স সংগ্রহ করুন।


ই-বুক লিখে প্যাসিভ ইনকাম

ই-বুক লেখা শুরু করার সময় নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখুন:

  • সরল এবং সহজ ভাষা: আপনার ভাষা যেন সহজ সরল  হয় যাতে পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারেন।
  • তথ্যবহুল এবং প্রাসঙ্গিক: প্রতিটি অধ্যায়ে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং উদাহরণ যুক্ত করুন। তথ্যগুলি যেন সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক হয়।
  • প্রতিটি অধ্যায়ের মধ্যে সংযোগ: প্রতিটি অধ্যায়ের মধ্যে একটি লজিক্যাল সংযোগ বজায় রাখুন যাতে ই-বুকটি ধারাবাহিকভাবে পড়া যায় এবং পড়ার সময় পাঠকরা প্রতিটি পয়েন্টের মাঝে মিল খুজে পায়। তারা যা জানার জন্য পড়তেছে সেদিক বিবেচনায় রাখতে হবে


সম্পাদনা এবং প্রুফরিডিং

ই-বুক লেখা শেষ হলে এটি সম্পাদনা এবং প্রুফরিড করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আপনি ভাষাগত ভুল, টাইপোগ্রাফিক্যাল ভুল, এবং তথ্যগত অসঙ্গতি সংশোধন করতে পারবেন। আপনি চাইলে একজন পেশাদার সম্পাদক বা প্রুফরিডার নিয়োগ করতে পারেন অথবা নিজেই সম্পাদনা এবং প্রুফরিড করতে পারেন।


কভার ডিজাইন

ই-বুকের কভার ডিজাইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কারণ এটি পাঠকদের প্রথমে আকর্ষণ করবে। একটি পেশাদার এবং আকর্ষণীয় কভার ডিজাইন করুন যা আপনার ই-বুকের বিষয়বস্তু প্রতিফলিত করবে। আপনি যদি নিজে থেকে কভার ডিজাইন করতে না পারেন, তবে একজন পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনারের সহায়তা নিতে পারেন।


ই-বুক ফরম্যাটিং

ই-বুক ফরম্যাটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যা আপনার ই-বুককে পড়ার জন্য সহজ এবং সুবিধাজনক করে তোলে। সাধারণত ই-বুকের জন্য জনপ্রিয় ফরম্যাটগুলি হলো EPUB, MOBI, এবং PDF। আপনি যদি অ্যামাজন কিডল প্ল্যাটফর্মে ই-বুক প্রকাশ করতে চান তবে MOBI ফরম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।


ই-বুক প্রকাশ এবং প্রচার

ই-বুক লেখা এবং ফরম্যাটিং শেষ হলে এখন তা  প্রকাশের সময় হয়ে এসেছে। তাই আপনি নিম্নোক্ত প্ল্যাটফর্মগুলিতে ই-বুক গুলো প্রকাশ করতে পারেন:

  • Amazon Kindle Direct Publishing (KDP): এটি বিশ্বের সবচেয়ে পপুলার  ই-বুক মার্কেটপ্লেস এবং এখানে ই-বুক প্রকাশ করলে আপনি বড় পরিমানে ক্রেতা পেয়ে যাবেন।
  • Smashwords: এটি একটি ই-বুক প্রকাশনা এবং বিতরণ প্ল্যাটফর্ম যা বিভিন্ন ই-বুক স্টোরে আপনার ই-বুক বিতরণ করে দিবে।
  • Barnes & Noble Press: এখানে ই-বুক প্রকাশ করলে আপনি Nook ডিভাইসের পাঠকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।যা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট হবে।


ই-বুক প্রকাশের পর এটি প্রচার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই  সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, ইমেইল নিউজলেটার, এবং অন্যান্য মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে আপনার ই-বুকের প্রচারণা চালান। মনে রাখবেন প্রচারণাই প্রসারের মুল ভিত্তি। যত প্রচার করবেন ততই প্রশার ঘটবে যা আপনার ভালো পরিমানে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় হয়ে উঠবে।




৭.এফিলিয়েট মার্কেটিং 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় এবং কার্যকর উপায় যার মাধ্যমে অনলাইনে আয় করা যায়। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি অন্যের পণ্য বা সেবা প্রচার করে কমিশন উপার্জন করেন। নিচে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলো।


অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করুন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার প্রথম ধাপ হল একটি বা একাধিক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করা। জনপ্রিয় কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হল:

  • Amazon Associates: আমাজনের পণ্য প্রচার করে কমিশন উপার্জন করা যায়।
  • ClickBank:বিভিন্ন ডিজিটাল পণ্য প্রচারের জন্য একটি বড় প্ল্যাটফর্ম।
  • Commission Junction (CJ): বিভিন্ন বড় ব্র্যান্ডের পণ্য প্রচারের সুযোগ।
  • ShareASale: বিভিন্ন ক্যাটেগরির পণ্য প্রচারের সুযোগ।


প্রথমে আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি করুন এবং অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাইন আপ করুন। প্রোগ্রাম নির্বাচনের সময় পণ্যের মান, কমিশন হার, এবং পেমেন্ট প্রক্রিয়া বিবেচনা করুন।


সঠিক নিস (Niche) নির্বাচন করুন

একটি নির্দিষ্ট নিস নির্বাচন করা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিস নির্বাচন করার সময় আপনার আগ্রহ, দক্ষতা এবং বাজারের চাহিদা বিবেচনা করুন। কিছু জনপ্রিয় নিস হল:

  • স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
  • প্রযুক্তি ও গ্যাজেটস
  • ভ্রমণ ও ট্যুরিজম
  • ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়ক
  • ফ্যাশন ও বিউটি


নিস নির্বাচন করার পর, সেই নিসের পণ্য ও সেবা প্রচার শুরু করুন


মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করুন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার জন্য মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করা অপরিহার্য। আপনার কন্টেন্ট হতে পারে ব্লগ পোস্ট, রিভিউ, টিউটোরিয়াল, ভিডিও, বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। কন্টেন্ট তৈরি করার সময় নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখুন:

  • তথ্যবহুল ও বিস্তারিত: পণ্যের বৈশিষ্ট্য, উপকারিতা এবং ব্যবহার নির্দেশনা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন।
  • আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য: কন্টেন্ট এমনভাবে লিখুন যা পাঠকদের আকর্ষণ করে এবং সহজে বুঝতে পারে।
  • সত্যনিষ্ঠ: পণ্যের প্রকৃত তথ্য প্রদান করুন এবং আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি ফিটনেস প্রোডাক্ট প্রচার করে থাকেন , তবে সেই প্রোডাক্টের ব্যবহার, উপকারিতা, এবং ফলাফল নিয়ে একটি বৃস্তর ভাবে ব্লগ প্রকাশ করুন।


ট্র্যাফিক জেনারেট করুন

আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক এবং ক্রয় বাড়ানোর জন্য ট্র্যাফিক জেনারেট করা গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কার্যকর পদ্ধতি হল:

  • SEO (Search Engine Optimization):আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য এসইও করুন এতে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে অধিক ট্রাফিক পাওয়া যায়।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, এবং পিন্টারেস্টে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করুন।
  • ইমেইল মার্কেটিং: সাবস্ক্রাইবারদের নিয়মিত ইমেইল পাঠান এবং অ্যাফিলিয়েট পণ্য প্রচার করুন। এতে করে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • পেইড এডভার্টাইজিং: গুগল অ্যাডওয়ার্ডস বা ফেসবুক অ্যাডস এর মাধ্যমে পেইড বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন।


পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করুন


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সফল হওয়ার জন্য নিয়মিত আপনার পারফরম্যান্স দেখা গুরুত্বপূর্ণ। কোন পণ্য বা কন্টেন্ট থেকে বেশি ক্লিক ও বিক্রি হচ্ছে সে সম্পর্কে ধারণা রাখুন। গুগল অ্যানালিটিক্স এবং অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের বিশ্লেষণ টুল ব্যবহার করে আপনার নিশ বাছাই করুন এবং ভিউ বাড়ানোর  জন্য প্রয়োজনীয় টিপস গুলো গুগল থেকে জেনে নিন। বেশি বেশি করে আর্টিকেল পড়ুন এতে আপনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাব

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)